হাওজা নিউজ এজেন্সি এর অনুবাদ বিভাগ জানায়, পবিত্র রওজা শুক্রবার, ২০ সফরুল খায়ের ১৪৪৭ হিজরি (ইরাক ক্যালেন্ডার), যা ইরানি ক্যালেন্ডারে ২১ সফর ১৪৪৭ এবং গ্রেগরিয়ান তারিখে ১৫ আগস্ট ২০২৫ [২৪ মর্দাদ ১৪০৪] এর সমান—এক সরকারি বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করে।
এই বিবৃতিতে বলা হয়, কারবালায় প্রবেশকারী জিয়ারতকারীদের সংখ্যা গণনার জন্য এআই–নির্ভর উন্নত ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে। এই সিস্টেমটি যাত্রী প্রবেশপথ ও পবিত্র রওজার ফটকে স্থাপন করা ছিল।
পবিত্র রওজার বিবৃতিতে আরও বলা হয়: আমরা এই শোকাবহ আরবাঈনের উপলক্ষে হজরত ইমাম মাহদি (আ.জ.), ওলামা এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে বিশেষ করে নবী–রাসুল ও ওলিদের ভূমি ইরাকের জনগণকে সমবেদনা জানাই। আমরা মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন ইসলামী ভূখণ্ডকে নিরাপদ রাখেন এবং হজরত আবা আব্দিল্লাহ হুসাইন (আ.)–এর সব জিয়ারতকারীকে তাঁদের শহর ও দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে দেন।
কারবালা নগরী গত ১৩ শতাব্দীর মতোই এবারও ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর ভাই হজরত আবুল ফজল আব্বাস (আ.)–এর জিয়ারতের জন্য কোটি কোটি মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পবিত্র রওজা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে জিয়ারতকারীদের জন্য চিকিৎসা, সেবা ও শোকানুষ্ঠানসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, টানা দশম বছরের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ইলেকট্রনিক গণনা ব্যবস্থা ব্যবহার করে কারবালায় প্রবেশকারী যাত্রীদের সঠিক পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, কফিল তথ্য ও পরিসংখ্যান কেন্দ্র কারবালায় প্রদত্ত অন্যান্য সেবার বিশ্লেষণমূলক নথিপত্র তৈরি করেছে।
প্রযুক্তিনির্ভর এই গণনা ব্যবস্থা কারবালার পাঁচটি প্রধান প্রবেশমুখে স্থাপন করা হয়েছিল—
বাগদাদ–কারবালা মহাসড়ক
বাগদাদ–জামালিয়া রুট
নাজাফ–কারবালা রুট
বাবেল–কারবালা রুট
হুসাইনিয়া–কারবালা রুট
এই ব্যবস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১ সফর থেকে ২০ সফর বিকেল ৬টা পর্যন্ত মোট ২ কোটি ১১ লাখ ৩ হাজার ৫২৪ জন যাত্রী কারবালায় প্রবেশ করেছেন।
আপনার কমেন্ট